স্কুল-কলেজ খোলার পরিবেশ পর্যালোচনা সভা আজ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চরখালী সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করছেন মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। আজ শুক্রবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনা করতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা আগামীকাল শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। আজ শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী, বরগুনা জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মির্জাগঞ্জের চরখালী সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ পর্যালোচনা সভা আহ্বান করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনা করছে সরকার।

গোলাম ফারুক শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আখতার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল কলেজ, কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝাটিবুনিয়া মই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুবিদখালী সরকারি কলেজ, চরখালী সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ, বেতাগী উপজেলার চান্দখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি বিকেল পাঁচটায় বরগুনায় দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

এ সময় তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

বরগুনায় স্থাপিত দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর পরিদর্শন করেন মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক

পরে মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, করোনা প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল–কলেজ খোলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা মানতে পেরেছে, তা জানতেই তিনি পরিদর্শনে এসেছিলেন। শনিবারের পর্যালোচনা সভায়ই সিদ্ধান্ত হবে ১ মার্চ স্কুল–কলেজ খোলা হবে কি না।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে মহামারির প্রকোপ কমে যাওয়ায় স্কুল-কলেজ কবে খুলবে, তা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছিল।