মাদারীপুরে বিয়ে করার কথা বলে দশম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। ওই দিন সকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সদর থানা-পুলিশ মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানায়, উপজেলার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে আসেন অভিযুক্ত যুবক আবদুর রহমান। আড়াই বছর আগে ছাত্রীটির সঙ্গে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠেছিল তাঁর। হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তথ্য ভুল ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আবদুর রহমানকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা জানার পর রাতে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।
মামলায় আবদুর রহমানসহ আসামি করা হয় তাঁর সহযোগী রাকিব মুনশি, মুরাদ সরদার ও আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক আলাউদ্দিন কবিরাজকে। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান পাভেল বলেন, ওই শিক্ষার্থীর আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
স্কুলছাত্রীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে ক্ষতি করেছেন অভিযুক্ত যুবক। তিনি এ ঘটনার বিচার ও অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চান, যাতে অন্য কোনো বাবার মেয়ের সঙ্গে এমন না হয়।
তবে অভিযুক্ত আবদুর রহমানের বাবা বলেন, তাঁর ছেলে বিবাহিত। দুটি সন্তান আছে। এ ঘটনায় তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম বলেন, মূলত পরিচয় গোপন রেখে স্কুলছাত্রীকে শহরের বৈশাখী আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয়। ওই হোটেলে ১ ঘণ্টা থাকার জন্য ৪০০ টাকা ভাড়া রাখেন ব্যবস্থাপক আলাউদ্দিন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানতে পারে।
শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার চারজনকে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।