রাজশাহীতে বড় ভাই দ্বিজেন ধরের সোনার বার ছিনতাইয়ে ছোট ভাই জিতেন ধর নাটক সাজিয়েছেন। এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত জিতেনকে ১৬টি সোনার বারসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিতেন একটি সোনার বার নাটোরের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় রাজশাহী নগর পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, নাটোরের বাগাতিপাড়ার জামনগর গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী দ্বিজেন ধর (৫০) ফেনী থেকে ১৭টি সোনার বার কিনেছিলেন। এসব হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতারণামূলক ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছিলেন দ্বিজেন ধরের আপন ছোট ভাই জিতেন ধর (৪৮)। তাঁর বাড়ি পুঠিয়া শিবচৌকি উত্তরপাড়া এলাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জিতেন ধর বাড়ি করে ঋণে জর্জরিত হয়েছেন। তাঁর প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার ঋণ আছে। এ ছাড়া তাঁদের চার ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়েও বিরোধ আছে। এ কারণে জিতেন তাঁর ভাইয়ের সোনার চালান মেরে দেওয়ার জন্য ফাঁদ পাতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফেনী থেকে সোনার বারগুলো কিনে ২১ ডিসেম্বর ভোরে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ছোট ভাই জিতেন ধরের বাসায় যান দ্বিজেন ধর। জিতেন তাঁর ভাইয়ের অজান্তে কৌশলে সোনার বারগুলো সরিয়ে সাদা ব্যাগে তিনটি সিসার রড কাগজে মুড়িয়ে রাখেন। পরদিন দুই ভাই পুঠিয়া থেকে রাজশাহীর সাহেববাজারের স্বর্ণপট্টি এলাকার এক জুয়েলার্সে বারগুলো বিক্রির জন্য বাসে রওনা হন। রাজশাহীর ভদ্রার মোড়ে বাস থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ার সময় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন অজ্ঞাতামা ব্যক্তি এসে তাঁদের ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ছিনতাইয়ের পরদিন রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেন দ্বিজেন ধর। সেই মামলায় জিতেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামি মিজানুর রহমান, মৃদুল ও তাঁদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পলাতক। পুলিশ জানায়, প্রতিটি ১০ ভরি ওজনের এই ১৭টি বারের বাজার মূল্য ১ কোটি ১২ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
পুলিশ কমিশনার জানান, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার, লুণ্ঠিত মানিব্যাগে থাকা নগদ টাকা, মুঠোফোন, তাঁদের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, মোটরসাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।