দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারাখানায় ঐতিহ্য অনুসন্ধানে এসেছিলেন ‘ভ্রমণকন্যা’ এলিজা বিনতে এলাহী। তিন দিনের সফর শেষে সৈয়দপুর শহর নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করে তিনি বললেন, ‘কেবল রেলকে ঘিরেই একটি জনপদ গড়ে উঠেছিল, একটি শহর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল সেই উপনিবেশ আমলে। এত প্রাচীন একটি স্থাপনাকে ঘিরে অনেক বড় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে।’
বিশ্ব হেরিটেজ বা ঐতিহ্য পরিব্রাজক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এলিজা বিনতে এলাহী ২৩ আগস্ট নীলফামারীর রেলওয়ে শহর সৈয়দপুর ভ্রমণে আসেন। গত তিন দিনে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাসহ এ শহরে অবস্থিত রেলের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
এলিজা ইতিমধ্যে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন। একাধারে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ ঘুরে দেখেছেন। এসব নিয়ে ইংরেজি ভাষায় দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। পুনরায় তিনি ‘কোয়েস্ট: আ হেরিটেজ জার্নি’ প্রকল্পের আওতায় ‘সিজন টু’ নামে ভ্রমণ শুরু করেছেন। নারী ট্রাভেলার হিসেবে ভ্রমণে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও দমে যাননি তিনি। পরিবারের সদস্যদের অনুপ্রেরণায় নিজের গতি বাড়িয়েছেন তিনি।
সৈয়দপুর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে আজ মঙ্গলবার এলিজা প্রথম আলোকে বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা এ শহরকে স্বাতন্ত্র্য করেছে। এ কারখানা অনেক প্রাচীন হওয়ায় অনেক পুরোনো মেশিনপত্র, ঐতিহ্য এখানে রয়েছে। যা পর্যটন অকৃষ্ট করতে পারে। বিদেশিরাও আসতে পারেন এখানে। এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। তিনি এ শিল্পের বিকাশে কাজ করছেন। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে বলে তিনি মনে করেন।
সৈয়দপুরে রেলওয়ে জাদুঘর স্থাপনে গুরুত্বারোপ করে এলিজা বলেন, দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে সেভাবে কেউ কাজ করছে না। রেলওয়ে অনেক বড় একটি সম্ভাবনা। পর্যটনশিল্পে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে একটি রূপরেখা তৈরি করেছেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ১৮৬২ সালে বাংলাদেশে রেল এসেছে। এ সময় অনেক উন্নত দেশ রেলওয়ে কী, তা জানত না। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্ম ১৮৭০ সালে। ১৯৪৭ সালে নির্মিত একটি প্রেসিডেন্ট সেলুন আছে সৈয়দপুর কারখানায়, যা দেখে তিনি চমৎকৃত হয়েছেন।