নীলফামারীর সৈয়দপুরে গতকাল শুক্রবার সারা রাত কুয়াশা পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে আজ শনিবার দিনে তাপমাত্রা দ্বিগুণ হয়ে বেশ গরম পড়েছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, কয়েক দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এ জন্য তাপমাত্রা কমতে থাকে। হঠাৎ কুয়াশায় তা আরও নেমে যায়। রাতের তাপমাত্রা নেমে আসে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সাধারণত শীতকালে এমন তাপমাত্রা থাকে। তবে আজ দুপুরে তাপমাত্রা বেড়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। শুরু হয় তীব্র দাপদাহ। তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
সৈয়দপুরের কামারপুকুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরুন কুমার দাস বলেন, ‘আবহাওয়ার এমন বিপরীতমুখী অবস্থান অতীতে দেখিনি। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।’
আবহাওয়ার এই তারতম্যকে ভয়াবহ বলেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সৈয়দপুর জেলা শাখার সভাপতি মাহাবুবুল হক। তিনি বলেন, এমন আবহাওয়ার কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। বয়স্কদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ রয়েছে, তাঁদের আরও সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার তারতম্যে কৃষিতে প্রভাব পড়ে। বোরো ফসলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিতে পারে। তবে কৃষি বিভাগ সতর্ক আছে।