সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের হোটেল-কটেজভাড়ায় ছাড়

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন তিন হাজারের বেশি পর্যটক। তাঁদের কথা ভেবে হোটেল–কটেজ ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের হোটেল ও কটেজভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে এবং পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে হোটেল ও কটেজভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হোটেল–কটেজ মালিক সমিতি। সোমবার এ সিন্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও হোটেল-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, আটকে পড়া পর্যটকের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি হবে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশের পাশাপাশি আটকে পড়া পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি হওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সংকেত নেমে গেলে পর্যটকদের ফেরত আনা হবে। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী আটটি জাহাজের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

রোববার সকালে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন ও সেন্ট মার্টিন–কক্সবাজার দুটি নৌপথের আটটি জাহাজে পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে আসেন। তাঁদের মধ্যে দুই হাজারের মতো পর্যটক রাত্রিযাপনের জন্য দ্বীপে থেকে যান। রোববার রাত সাড়ে ১০টার পর আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করলে রাত ১১টায় উপজেলা প্রশাসন সেন্ট মার্টিন নৌপথের আটটি জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।

পূর্বাভাসে সতর্কসংকেত থাকলেও সেন্ট মার্টিনের আকাশ ছিল ঝলমলে। আটকে পড়া পর্যটকেরা সৈকতের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন

স্থানীয় সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সেন্ট মার্টিন ঘুরে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়ার সতর্কসংকেত থাকলেও সকাল থেকে সেন্ট মার্টিনের ছিল আকাশ ঝলমলে, তেমন বাতাসও ছিল না। অন্যান্য দিনের মতো সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। তবে টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ না আসায় পর্যটকেরা ফিরতে পারেননি। পাশাপাশি আটকে পড়া পর্যটকেরা সৈকতের পাশাপাশি সমুদ্রস্নানের মাধ্যমে তাঁদের সময় পার করছেন। কোথাও কোথাও দল বেঁধে পর্যটকদের হাঁটাহাঁটি করতে দেখা গেছে।

টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় রোববার সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা ফিরতে পারেননি। সংকেত নেমে গেলে তাঁদের ফেরত আনা হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।