সেতু ভেঙে দুর্ভোগে ১২ হাজার মানুষ

  • উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ওই কাঠের সেতুটি এপ্রিল মাসে উদ্বোধন করা হয়। দুই মাস পরই সেতুটি ভেঙে যায়।

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বনুয়াকান্দি খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি আট মাস আগে ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত সেতুটি সংস্কার করা হয়নি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বনুয়াকান্দি গ্রামের খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি তিন মাসের মধ্যেই পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। এরপর সেখানে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে চলছে পারাপার। সেতুটি পুনরায় মেরামত না করায় ইউনিয়নের ছয় গ্রামের মানুষ নিয়মিত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছর স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) অধীনে বনুয়াকান্দি গ্রামের খালের ওপর ১৮০ ফুট দীর্ঘ একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। ৩ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়। গত বছরের এপ্রিল মাসে পদুয়া ইউপির চেয়ারম্যান এস এম মনির হোসেন এ সেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দুই মাস পর জুন মাসে বর্ষার পানির স্রোতে সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে ছয় গ্রামের বাসিন্দা নৌকায় খালটি পারাপার করছে। তবে বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে খালের ওই অংশে চলাচলের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

এলাকার কমপক্ষে পাঁচজন বাসিন্দা জানান, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের খালিসা, বনুয়াকান্দি, মোল্লাবাড়ি, নয়ানগর, সৈয়দখারকান্দি ও মোল্লাকান্দির প্রায় ১২ হাজার মানুষ এই খাল নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে প্রতিদিন চলাচল করে। এসব গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে এ স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন।
বনুয়াকান্দি গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, মোল্লাকান্দি-শ্রীরায়েরচর সড়কের বনুয়াকান্দি খালের ওপর দীর্ঘদিন পরও একটি পাকা সেতু নির্মিত না হওয়ায় ছয় গ্রামের মানুষ নিয়মিত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কৃষিপণ্যের সঠিক মূল্যও পাচ্ছেন না।

খালের ওপর একটি পাকা সেতু নির্মিত না হওয়ায় রাতের বেলায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে মহাদুর্ভোগে পড়তে হয়।
খুকুমনি আক্তার, বনুয়াকান্দি গ্রামের গৃহবধূ

নয়ারনগর গ্রামের দোকানদার এরশাদ ভূঁইয়া বলেন, খালের ওপর সেতু নির্মিত না হওয়ায় দোকানের মালামাল আনতে অতিরিক্ত কষ্ট হয়।

বনুয়াকান্দি গ্রামের গৃহবধূ খুকুমনি আক্তার বলেন, খালের ওপর একটি পাকা সেতু নির্মিত না হওয়ায় রাতের বেলায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে মহাদুর্ভোগে পড়তে হয়।

খালিসা গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার বলেন, ছয়টি গ্রাম পদুয়া ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে। তাই গ্রামগুলো খুবই অবহেলিত। নৌকা দিয়ে খাল পারাপার হওয়া ছাড়া এসব গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতে বিকল্প কোনো পথ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদুয়া ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘খালের ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করতে একাধিক মাধ্যমে চেষ্টা চালাচ্ছি।’
পদুয়া ইউপির চেয়ারম্যান এস এম মনির হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর কষ্ট দূর করতে বনুয়াকান্দি খালের ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দাউদকান্দি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি।