সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই জেলেকে বাঘে ধরে নিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বেলা দুইটা পর্যন্ত ওই দুই জেলের কোনো সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় ওই দুই জেলের সহযোগী একজন নিখোঁজ আছেন।
বাঘে ধরে নিয়ে যাওয়া দুজন হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও একই গ্রামের মনো মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তির ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)। এ ঘটনায় নিখোঁজ অন্যজন হলেন আবু মুসা (৪১)। তিনি জয়াখালি গ্রামের সাত্তারের ছেলে।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন, জীবিকার প্রয়োজনে রতন, মিজানুর রহমান ও আবু মুসা সুন্দরবনে গিয়েছিলেন। তাঁরা তিনজন একসঙ্গে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আবু মুসা মুঠোফোনে তাঁকে জানান, রতন ও মিজানুরকে কাচিকাটা এলাকা থেকে বাঘে ধরে নিয়ে গেছে। তিনি চেষ্টা করেও দুজনকে উদ্ধার করতে পারেননি। এরপর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরে তিনি ঘটনাটি রাত নয়টার দিকে কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর ওই স্টেশন দিয়ে আবু মুসা নামে কোনো ব্যক্তি বৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করেননি। তিনি আরও বলেন, শুনেছেন বাঘ যাদের ধরে নিয়ে গেছে কিংবা নিখোঁজ রয়েছে, তারা কেউ জেলে নয়। তারা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। সুন্দরবনের ভারতের অংশে দুজন বাংলাদেশি মারা গেছে। তবে তারা বাঘের হামলায়, না অন্য কোনোভাবে মারা গেছে, বিস্তারিত জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বাঘের আক্রমণে দুজন আহত হওয়ার খবর জানতে পেরেছেন সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা আবুল হাসান। সুন্দরবন সাতক্ষীরা ও ভারত মিনখালি সীমান্ত এলাকায় বাঘের ওই আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
এদিকে আজ সুন্দরবনসংলগ্ন কৈখালী বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আবদুল হাই বলেছেন, বন বিভাগ ও স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন, সুন্দরবনের ভারতের অংশে বাঘের হামলায় দুজন বাংলাদেশি মারা গেছেন।