সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উজ্জ্বল আহমদকে তাঁর পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের সাড়ে তিন কোটি টাকার একটি ক্রয়কাজের দরপত্র জমাদানে বাধা ও দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবলীগ।
জেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুল হুদা আজ সোমবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে জেলা শাখার পক্ষ থেকে গতকাল রোববার রাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত বুধবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় থানায় উজ্জ্বল আহমদসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়। ঘটনার পরপরই আটক হন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ধাইর গ্রামের শাওন আহমদ (২৯), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল আহমদ (৩৪), একই এলাকার বাসিন্দা যুবলীগের কর্মী তাজুল ইসলাম (৩৪), শহরের আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা রিগান আহমদ (২৮) এবং সুনামগঞ্জ শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান (২৪)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওষুধসহ বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়কাজের দরপত্র জমাদানের নির্ধারিত দিন ছিল বুধবার। সকালে হাসপাতালে দরপত্র জমা দিতে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে দরপত্র জমা দিতে বাধা দেন এবং কারও কারও কাছ থেকে দরপত্রের কাগজ ছিনিয়ে নেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। পরে বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আনিসুর রহমান পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে বাধাদানকারীরা সেখান থেকে চলে যান। এরপর পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজ দেখে হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ভোলার চরফ্যাশন এলাকার বাসিন্দা পাবেল মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন।