জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধে ৯ বছর বয়সী ভাতিজাকে গলা টিপে হত্যা করেছিলেন চাচা ছদরুল হোসেন চৌধুরী। এ ঘটনায় হওয়া মামলার একমাত্র আসামি ছিলেন তিনি। ১০ বছর পর এই মামলার রায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূরুল আলম মোহাম্মদ নিপু এই রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম এই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ছদরুল হোসেন চৌধুরী (৫৪) সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের দরগাপাশা গ্রামের বাসিন্দা।
শিশুটির লাশ নিজ ঘরে ধানের গোলার নিচে রেখে বসতঘর তালাবন্ধ করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান ছদরুল হোসেন। সেই থেকে আজও পলাতক তিনি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দরগাপাশা গ্রামের আছাবুর রহমান চৌধুরীর ছেলে হাবিবুর কিবরিয়া চৌধুরী ওরফে সেজুকে (৯) পারিবারিক ও জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গলা টিপে হত্যা করেন তার আপন বড় চাচা ছদরুল হোসেন। পরে শিশুটির লাশ নিজ ঘরে ধানের গোলার নিচে রেখে বসতঘর তালাবন্ধ করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান ছদরুল হোসেন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছদরুল হোসেন চৌধুরীর ঘরে ধানের গোলার নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।
ঘটনার পরদিন শিশুটির বাবা আছাবুর রহমান চৌধুরীর বাদী হয়ে ছদরুল হোসেন চৌধুরীকে আসামি করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন। মামলার পর থেকে ছদরুল হোসেন চৌধুরী পলাতক।