চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক নারী (৫৫) মারা গেছেন । স্বজনেরা জানিয়েছেন, তাঁর জ্বর, সর্দি ও কাশি ছিল। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে—এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
ওই নারীর চাচাতো দেবর প্রথম আলোকে বলেন, ভাবি ছিলেন একই উপজেলার আরেক ইউনিয়নে বাবার বাড়িতে। সপ্তাহ খানেক আগে ভাবির মা মারা গেছেন বার্ধক্যের কারণে। তাঁর জ্বর, সর্দি ও কাশি ছিল। মাকে সেবা করতেন ভাবি। সেখানে তিনি অসুস্থ হন। তাঁরও জ্বর, সর্দি, কাশি হয়। গতকাল গুরুতর অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে রাখেনি। সন্ধ্যায় বাবার বাড়িতে না নিয়ে তাঁকে নিজ বাড়িতে আনা হয়।
ওই দেবর আরও বলেন, বাড়িতে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে ওই নারীর মেয়েরা তাঁকে (দেবর) জানান, তাঁদের মা আর বেঁচে নেই। পরে ওই নারীকে আবার হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাত সাড়ে আটটায় বাড়িতে আনা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমে তাঁকে বলা হলো ওই নারী সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পরে আবার জানানো হলো স্ট্রোক করে মারা গেছেন। লাশটি দাফন করার জন্য কবরস্থানে নেওয়া হয়। তিনি (কাউন্সিলর) সেখানে যাচ্ছেন, এমন খবর শুনে কালো রঙের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে লাশটি অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ফিরে আসার পর আবার অ্যাম্বুলেন্সে যোগে লাশটি আনা হয়। আজ বুধবার সকালে আবার দাফনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, তিনি শুনেছেন ওই নারী জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগে মারা গেছেন। তাই তাঁর স্বজনদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ওই নারীর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়নি, তাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দীন বলেন, ওই নারীর মায়ের শ্বাসকষ্ট ছিল। মাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অনেক দিন। মায়ের শুশ্রূষা করতে গিয়ে সম্ভবত তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর মা করোনার রোগী ছিলেন না। তাই তিনিও করোনার রোগী নন।