চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায় ঢেউটিন তৈরির একটি কারখানা লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওই কারখানার এক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে কারখানাটির ৩০০ শ্রমিককে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই কারখানার একজন ফোরম্যান (৫০) করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবেদন পেয়ে গতকাল বুধবার রাতে ইউএনও মিল্টন রায় ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা ঘটনাস্থলে যান এবং ১০ দিনের জন্য কারখানাটি লকডাউন ঘোষণা করেন।
ইউএনও প্রথম আলোকে বলেন, করোনায় আক্রান্ত কারখানার ওই ফোরম্যান কারখানার ভেতরেই থাকতেন। তাঁর অধীনে ৩০০ শ্রমিক প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করতেন। ১৫ দিন আগে তাঁর জ্বর শুরু হয়। ১ মে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেদিনই নমুনা সংগ্রহ করে। গতকাল নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পর তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হন।
ইউএনও বলেন, লকডাউনের সময়ে কোনো শ্রমিক কারখানা থেকে বের হতে পারবেন না। বিষয়টি মানার জন্য তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ওই কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক বলেন, তাঁদের ওই কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেই আট দিন ধরে তাঁকে আলাদা একটি স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া একই দিন সীতাকুণ্ড পৌর সদরের আমিরাবাদ এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থার উপজেলা ব্যবস্থাপক ও সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় একজন সবজি ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হন। ফলে ওই দুই এলাকায় ৩৬টি পরিবার লকডাউন করা হয়। এ ঘটনায় ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। কাঁচাবাজারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিনজন।