সীতাকুণ্ডে আবার বিস্ফোরণের আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছে মানুষ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আতঙ্কে ঘর ছেড়ে যাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন ও ডিপোতে কাজ করা শ্রমিক–কর্মচারীরা। বিএম ডিপোর পাশের কেশবপুর গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছেন স্থানীয় লোকজন। আবার বিস্ফোরণ হতে পারে—এ আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছাড়ছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরও ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে তাঁদের। ডিপোতে কাজ করা শ্রমিকেরা থাকতেন যেসব এলাকায়, সেখানকার ভাড়া ঘরগুলো প্রায় খালি হয়ে গেছে।

আজ সকালে বিএম কনটেইনার ডিপোর আশপাশের গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায়, আতঙ্কিত লোকজনের অনেকে আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বেশির ভাগ পরিবার তাদের শিশুদের স্বজনদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার রাতে বিএম ডিপোতে প্রথম বিস্ফোরণের পর থেকেই লোকজন আতঙ্কিত। দ্রুত আগুন নিভে যাবে—এমনটাই ভেবেছিলেন তাঁরা। তবে এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তাঁরা চিন্তিত।

আজ সকালে ডিপোর পাশের কেশবপুর গ্রামে কথা হয় গৃহিণী সেলিনা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের পরের দিন ভয়ে ছোট দুই সন্তানকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। ভেবেছিলাম আমরা যাব না। কিন্তু এখনো আগুন আছে। আবার বিস্ফোরণ হয় কি না, সে আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে চাইছি এখন।’

আরেক বাসিন্দা মো. মোবারক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকায় আমার ১০৫টি ভাড়া ঘর আছে। এসব ঘর বিএম ডিপোর শ্রমিকদের ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ভাড়া দিয়েছিলাম। ডিপোতে বিস্ফোরণের পর থেকে ঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। এর মধ্যে ৭০টি ঘর খালি হয়ে গেছে।’

ডিপোতে বিস্ফোরণের পর থেকে ঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা

ডিপো এলাকার মোল্লাপাড়া গ্রামের দোকানি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে আমার দোকানে দৈনিক ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা বিক্রি হতো। আগুনের ঘটনার পর বিক্রি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকায় এসে ঠেকেছে। ডিপোতে আবার বিস্ফোরণের ভয়ে অনেক মানুষ এলাকা ছেড়েছেন।’

কেশবপুর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. রবিন বলেন, বিস্ফোরণের আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী। অনেকে এলাকা ছেড়েছেন। আরও অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।