ফায়ার সার্ভিস বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার খবর পায় শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে। আগুন নেভাতে নিকটস্থ কুমিরা ফায়ার স্টেশন ও সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই দুটি দলের ২৬ সদস্যের সবাই হতাহত হয়েছেন। তাঁদের ৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের একটি লাশ শনাক্ত করা যায়নি। ৩ জন নিখোঁজ। বাকি ১৪ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার রাতেই প্রাণ গেল আলাউদ্দিনের
‘পুড়ে যাচ্ছি, মরে যাচ্ছি’ বলতে বলতেই মারা গেলেন মহিউদ্দিন
ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে বিস্ফোরণ, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সোবহানের
ডিপোতে দাঁড়িয়ে করছিলেন ফেসবুক লাইভ, হঠাৎ বিস্ফোরণে গেল প্রাণ
রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। তিনি বলেন, ওই তিনজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গত শনিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং শেডে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই শেডের কিছুটা দূরে থাকা রাসায়নিকভর্তি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
আগুন নেভানোর জন্য শুরুতে কুমিরা ফায়ার স্টেশন থেকে ১৫ জনের যে দলটি ঘটনাস্থলে যায়, তাঁদের মধ্যে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. রানা মিয়া (বাড়ি-মানিকগঞ্জ), মনিরুজ্জামান (কুমিল্লা), আলাউদ্দিন (নোয়াখালী) এবং মো. শাকিল তরফদার ও মিঠু দেওয়ান (রাঙামাটি)। মো. ইমরান হোসেন মজুমদার (চাঁদপুর) ও শফিউল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ) নামের দুই কর্মী নিখোঁজ। আটজন আহত হন।
সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন থেকে যাওয়া দলটিতে ছিলেন ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নিপন চাকমা (বাড়ি-রাঙামাটি), রমজানুল ইসলাম (বাড়ি-শেরপুর) ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (বাড়ি-ফেনী)। মো. রবিউল ইসলাম (নওগাঁ) ও ফরিদুজ্জামান (রংপুর) নিখোঁজ। ছয়জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, নিখোঁজ চারজনের মধ্যে একজনের লাশ পাওয়া গেলেও পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। বাকি তিনজনও মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।