সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন ১২টি ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ

সিলেট সিটি করপোরেশন
ফাইল ছবি

সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকাকে বিন্যস্ত করে নতুন ১২টি সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে সিটি করপোরেশনের গণসংযোগ শাখা এ তথ্য জানিয়েছে।

জেলা প্রশাসক সিলেট সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল আলিম শাহ প্রথম আলোকে বলেন, ওয়ার্ডভিত্তিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত পরামর্শ বা আপত্তি থাকলে সেটা আগামী ৮ মার্চের মধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ৩১ আগস্ট প্রকাশিত গেজেটের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সদর উপজেলার চারটি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে সিলেট সিটি করপোরেশনকে সম্প্রসারণ করা হয়। পরে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন–২০০৯-এর ২৯ ও ৩০ ধারা অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারিত এলাকাগুলোকে ওয়ার্ডভিত্তিক পুনর্বিন্যাস করে ওয়ার্ডভিত্তিক সীমানা নির্ধারণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখন বর্ধিত এলাকাগুলোকে নিয়ে ২৮ থেকে ৩৯ নম্বর পর্যন্ত ১২টি সাধারণ ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। এ ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি সাধারণ ওয়ার্ডের সমন্বয়ে ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে দক্ষিণ সুরমার গাংগু, রিয়াছতপুর, মাজপাড়া, সুনামপুর, পশ্চিম বরইকান্দি, তেলিরাই, নিয়ামতপুর, রায়েরগাঁও, কাজীরখলা ও কামুশুনা গ্রাম।

জেলা প্রশাসক সিলেট সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওয়ার্ডভিত্তিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত পরামর্শ বা আপত্তি থাকলে সেটা আগামী ৮ মার্চের মধ্যে জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

২৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে দক্ষিণ সুরমার পিরিজপুর, পর্বতপুর, বদিকোনা আংশিক, উম্মুর কবুল, লাউয়াই, মোহাম্মদপুর ও ধরাধরপুর গ্রাম। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে দক্ষিণ সুরমার জৈনপুর, চান্দাই, তেলীপাড়া, চান্দাই পশ্চিমপাড়া, টিয়রগাঁও, তালুকদারপাড়া, নজরপুর, বকশীপুর, গালিমপুর ও দাউপুর গ্রাম। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার কুইটুক, নয়া বস্তি, মুরাদপুর, পেশনেওয়াজ (মুক্তরচক), পীরেরচক, মিরেরচক (আংশিক) গ্রাম।

৩২ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার কল্যাণপুর (আংশিক), বেতার কেন্দ্র, ইসলামপুর (আংশিক), ইসলামপুর কলোনি, ইসলামপুর দক্ষিণ-ফাল্গুনী, মুসলিমনগর, মুগীরপাড়া, মুড়িলা, নূরপুর, নাথপাড়া, আটালু, পূর্ব ভাটপাড়া, পশ্চিম ভাট পাড়া, কান্দিহুতা, মীরাপাড়া, পূর্ব শাপলাভাগ, সোনাপুর, টুলটিকর আবাসিক এলাকা, পূর্ব কুশিঘাট, শাহপরান আবাসিক এলাকা, কৃষি খামার (আংশিক) এলাকা।

৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার খাদিমপাড়া (আংশিক), কালাটিকর (আংশিক), মণিপুরিপাড়া বস্তি, বহর দাসপাড়া, ধনকান্দি, পাঁচগরি, লালখাটংগী, শাহপরান আবাসিক এলাকা, বহর নোঁয়াগাও, এটিআই, ভাওয়াল টিলা, ইসলামাবাদ ও কল্লগ্রাম। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার খাদিমপাড়া (আংশিক), মীরমহল্লা, বহর কলোনি, বাহুবল আবাসিক এলাকা, উদ্দিন টিলা ও কালাটিকর (আংশিক) এলাকা।

৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার জাহানপুর, সৈয়দপুর (আংশিক), মোহাম্মদপুর, চামেলীবাগ (গোয়ালগাঁও), শ্যামলী আবাসিক এলাকা, সিলেট টেক্সটাইল (আংশিক), ইসলামপুর পূর্ব, সরকারি কলেজ (আংশিক), প্রকৌশল কলেজ, দুগ্ধ খামার, সৈয়দপুর (আংশিক), জাহানপুর উত্তর (বুড়িবস্তি) ও আলুরতল এলাকা।

৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার উত্তর বালুচর, আরামবাগ, দুর্গাবাড়ি, এমসি কলেজ আবাসিক এলাকা, টিভি গেট হাসপাতাল এলাকা, বন বিভাগ টিলা, ইকো পার্ক, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এলাকা। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার টিলাগড়, ডলিয়া, বড়গুল, সুসক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আখালিয়া, নতুন বাজার আবাসিক এলাকা, যগীপাড়া, দামালী পাড়া, আখালিয়া ঘাট, কারীপাড়া, খলাপাড়া, চান্দিয়ালা, নোয়াপাড়া ও বিজিবি এলাকা এলাকা।

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার নাজিরগাঁও, টিয়রবাড়ি, পীরপুর (আংশিক), খালিগাঁও, হায়দরপুর, চরুগাঁও, সাহেবের গাঁও, শেখপাড়া, ওয়াবদা ও কুমারগাঁও এলাকা। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার শাহাপুর, নোয়াগাঁও (আংশিক), নয়া খুরুমখলা, খুরুমখলা (আংশিক), পীরপুর (আংশিক), টুকেরগাঁও (আংশিক), নোয়াপাড়া, তালুকদারপাড়া, মইয়ারচর, নোয়াগাঁও (আংশিক), নোয়াগাঁও হিন্দুপাড়া, টুকের গাঁও (আংশিক) ও গৌরীপুর এলাকা।