কুমিল্লার ঘটনার জেরে সিলেট নগরের হাওলদার পাড়ার দুটি পূজামণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা মণ্ডপের পাশের বাসাবাড়িতেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে দেড় শতাধিক লোক দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে নগরের কালীবাড়ি পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা চালায়। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক মানুষ থাকায় হামলাকারীরা মিছিল নিয়ে পাশের হাওলদার পাড়ার দিকে এগোয়। সেখানে ভাটিবাংলা অগ্রদূত যুব সংঘ কমিটি ও উদীয়মান ভাটিবাংলা সর্বজনীন পূজা কমিটির মণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রধান ফটক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা মণ্ডপের পাশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাসাবাড়িতেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন হামলাকারীদের বাধা দেয়। এমন অবস্থায় হামলাকারীরা আর প্রতিমা ভাঙচুর করতে পারেনি। তবে হামলায় মন্দিরের ভেতরে থাকা কয়েক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, নগরের হাওলদার পাড়া, কালীবাড়ি, ব্রাহ্মণশাসন, পনিটুলা ও করেরপাড়া এলাকার অবস্থান পাশাপাশি। এসব এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক মানুষের বসবাস। এখানে এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সাতটি স্থানে সর্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি মণ্ডপে পারিবারিকভাবে পূজার অনুষ্ঠান হয়। হামলাকারীরা মিছিল নিয়ে ভাটিবাংলা অগ্রদূত, উদীয়মান পূজা কমিটির মণ্ডপ এবং এর পাশের বাসাবাড়িতে ইটপাথর ছুড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিকেল চারটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ঘটনার পরপর মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে ভাটিবাংলা অগ্রদূত যুব সংঘ কমিটি ও উদীয়মান ভাটিবাংলা সর্বজনীন পূজা কমিটির মণ্ডপের পুণ্যার্থীরা দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বিসর্জনে বেরিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। কারা এ হামলা চালাতে এসেছিল, পুলিশ তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।