সিলেট নগরে জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ও উপপরিদর্শক নিশু লাল দে আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে নগরের জেল রোড মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল ও স্থানীয় একটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরের জেল রোড মোড়ে বেশ কয়েক যুবক হঠাৎ একত্র হয়ে একটি মিছিল বের করেন। এ সময় টহল ও সাদাপোশাকের কয়েক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ওই যুবকেরা তাঁদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ দুই যুবককে আটক করে জেল রোড মোড়ের মাধুরী পুষ্পালয় নামের একটি দোকানের মধ্যে ঢুকিয়ে শাটার বন্ধ করে দিলে ওই যুবকেরা আটক দুজনকে ছাড়িয়ে নিতে ওই প্রতিষ্ঠানে হামলা চালান।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ কয়েক যুবক পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে তাঁর দোকানের শাটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা বেশ কিছু মালামাল নষ্ট হয়।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, জেল রোড মোড়ে একটি মিছিল দেখে গাড়ি থামাতেই মিছিলে অংশ নেওয়া যুবকেরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলাকারীরা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে জানতে পেরেছেন। তবে তাঁরা কেন মিছিল করছিলেন, তা জানতে পারেননি। হামলায় তিনিসহ এক এসআই আহত হয়েছেন।
মোহাম্মদ আলী মাহমুদ আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে বিনা উসকানিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও ধরপাকড়ের অভিযোগ এনে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট মহানগর জামায়াত। বিকেল চারটার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগর জামায়াত আয়োজিত শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে নেতা-কর্মীরা যখন নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছিলেন, সেই মুহূর্তে কতিপয় অতি উৎসাহী সাদা পোশাকধারী পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মী ও সাধারণ পথচারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ধরপাকড় করে। এ হামলা ও ধরপাকড় সম্পূর্ণ আইন, মানবাধিকার ও সংবিধান বিরোধী। আমরা এর তীব্র নিন্দার পাশাপাশি এ ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’