সিলেটে মধ্যরাতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সাতজন আটক

আটক
প্রতীকী ছবি

সিলেটে মিথ্যা তথ্য ও ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘গুজব’ ছড়ানোর অভিযোগে সাত ব্যক্তিকে আটক করেছে র‍্যাব-৯-এর সাইবার মনিটরিং টিম। রোববার (২৫ জুলাই) বেলা তিনটা পর্যন্ত চলা অভিযানে সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সাতজনকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে র‍্যাব-৯ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নগরের শাহপরান থানায় মামলা হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, ২২ জুলাই রাত ১২টার দিকে কয়েকজন ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ছবিসংবলিত একটি মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়। এতে বলা হয়, ‘সেনানিবাসে আগুন লেগেছে।’ মিথ্যা এই তথ্যের সঙ্গে কিছু ছবিও দেওয়া হয়। ঘটনাটি মিথ্যা ও গুজব রটাতেই করা হয়েছে—এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তদন্তে নামে র‍্যাব-৯–এর সাইবার মনিটরিং টিম। মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীদের শনাক্ত করে শনিবার রাতে অভিযানে নামে র‌্যাব। রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়।

আটক সাতজন হলেন নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকার মেন্দিবাগের মো. আশফাকুর রহমান (৩২), শাহপরান থানার পীরের চকের আলা উদ্দিন আলাল (৪৭), গোলাপগঞ্জ উপজেলার মজিদপুরের রেজা হোসেইন (২০), একই উপজেলার বাণীগ্রামের সোহেল আহমদ (২৬), বাগীরঘাটের আবুল কাশেম (২৬), মহানগরের মোগলাবাজার থানা এলাকার কুচাইয়ের রাজন আহমদ (২৮) ও বিমানবন্দর থানার আটপিয়ারির বাসিন্দা মোক্তার হোসেন।

র‍্যাব-৯–এর সাইবার মনিটরিং টিম সূত্র জানায়, আটক সাতজনের মধ্যে চারজন ‘সিলেট সময় টিভি’ নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের নামে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ও ছবি অনেকটা খবরের মতো করে দেন। এতে অজ্ঞাত স্থানের দুটো পাকা ভবনে আগুন লাগার ছবি যুক্ত করা হয়। আটক সাতজনকে গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় আটক করা হয়। ফেসবুকের আরও কয়েকটি আইডি থেকে একই ছবি দিয়ে মিথ্যা তথ্য ফেসবুকে আপলোড করা হয়। এসব ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীও ‘শেয়ার’ দেন। কেউ কেউ ‘বিস্তারিত আসছে’ বলে সবাইকে অবহিত করেছিলেন। এসব মিথ্যা তথ্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট প্রচারের পরপরই মূলধারার কিছু গণমাধ্যমকর্মী ‘গুজব’ বলে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন।

র‍্যাব-৯–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাতজনই ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব রটানোর দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।

পরে রোববার বিকেলে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এসআই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেছেন।