সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুস সালাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। রোববার রাতে উপজেলার বৈটিকর এলাকায় সিলেট-জকিগঞ্জ এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ি ইউপি নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে রাত আটটার দিকে নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমরান হোসেনের সমর্থকেরা বৈটিকর এলাকায় সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। রাত ১০টা পর্যন্ত তাঁরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন। এতে উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় অবরোধকারীরা যাত্রীবাহী গাড়িও ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে চাইলে অবরোধকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে। এ সময় স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে আবদুস সালাম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নিহত আবদুল সালামের ভাতিজা জাফরান আহমদ চাচার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত আবদুস সালাম বৈটিকর বাজারে একটি রিকশার গ্যারেজে মেকানিকের কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের রামপা গ্রামে। স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত আবদুস সালাম অবরোধকারী ছিলেন নাকি পথচারী, তা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির রোববার রাত সোয়া ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে তিনি কার গুলিতে মারা গেছেন, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।