বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিলেটে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কা করা হচ্ছে বন্যার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সিলেটে ৬৬ দশমিক ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ শুক্রবার সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, মৌসুমি বায়ু সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টি আরও দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হবে। এরপরই বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে।
গত মাসে ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি সিলেট নগর ও বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা। এরই মধ্যে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিলে কঠিন অবস্থায় পড়তে হবে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, ১২ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে ভারতের মেঘালয় ও আসামে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সিলেট অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সে সময় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। মূল চিন্তার কারণ পাহাড়ি ঢল। এরই মধ্যে সিলেটে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নদ-নদীর বাঁধগুলো মেরামত ও সংস্কারের কাজ করা শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ১২ থেকে ১৪ জুনের আগেই মেরামত কাজ শেষ হয়ে যাবে।
নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার এইচ ব্লকের বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, গত মাসে নদীর পানি উপচে শহরে প্রবেশ করেছিল। সে সময় বাসা ছেড়ে প্রায় এক সপ্তাহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অবস্থান করতে হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে একধরনের ভুতুড়ে পরিবেশে বাসা পাহারা দিতে হয়েছে। সে সময় পানিতে ভিজে বাসার বিভিন্ন আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে চলেছে, এমন সময়ে ফের বন্যা দেখা দিলে আর্থিক সংকটে পড়তে হবে।