সিলেটে করোনার তৃতীয় ডোজের (বুস্টার) টিকা নেওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার নাগরিককে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ জন টিকা নিতে আসছেন। এ ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের সংখ্যাও কম বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে টিকা গ্রহণকারীদের নির্ধারিত তারিখে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে আহ্বান জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
গতকাল সোমবার রাতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তিতে মেয়র সবাইকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিয়মানুযায়ী কোভিড-১৯-এর টিকা নেওয়ার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের জন্য যাঁরা মুঠোফোনে খুদে বার্তা পেয়েছেন বা নির্ধারিত সময় হওয়ার পরও টিকা গ্রহণ করছেন না, তাঁদের অতিসত্বর টিকা গ্রহণ করতে হবে। টিকা গ্রহণে বিলম্বের কারণে কোনো সমস্যা কিংবা টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো সংকট সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না বলে জানানো হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার বুস্টার ডোজের জন্য প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার নাগরিককে খুদে বার্তা পাঠানো হচ্ছে। তবে প্রতিদিন মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ জন টিকা নিতে আসছেন। সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য টিকাগুলো সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। পরে টিকাগুলো নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অব্যবহৃত থাকলে সেগুলো ব্যবহারের উপযোগিতা হারাবে। অন্যদিকে টিকার লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে না।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ যদি করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তাহলে আবার করোনার টিকা গ্রহণকারীদের চাপ বাড়বে। তখন টিকাদানের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণ করা হলে এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধু করোনার তৃতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। নগর ভবনের নীচ তলায় স্থাপিত অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখনো যাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেননি, তাঁরা ওই কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।