সিলেট জেলায় বন্যার পানিতে ৩৮টি বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধের ২ হাজার ৮৬০ মিটার অংশ। এর বাইরে আরও ৫২টি বাঁধ উপচে বন্যার পানি লোকালয়ে ঢুকেছে। এ খাতে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটা এখন নির্ধারণ করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো জানিয়েছে, ৫২টি বাঁধের ১৫ হাজার ৯০০ মিটার অংশ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। ভেঙে পড়া ও উপচে যাওয়া বাঁধগুলো ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে কোনোটি তৈরি, কোনোটি সংস্কার করা হয়েছিল। এসব বাঁধের কোনো কোনোটি দিয়ে যানবাহনও চলাচল করে। বাঁধগুলোয় মানুষ আর যানবাহনের চলাচল থাকায় ধীরে ধীরে এগুলো ক্ষয় হয়েছে।
একই সূত্র জানিয়েছে, যেসব বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে, সেসব বাঁধে বিপৎসীমার দেড় থেকে দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।
৫২টি বাঁধের ১৫ হাজার ৯০০ মিটার অংশ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। ভেঙে পড়া ও উপচে যাওয়া বাঁধগুলো ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে কোনোটি তৈরি, কোনোটি সংস্কার করা হয়েছিল।
জকিগঞ্জের অমলশিদ এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ১৯ মে রাতে অমলশিদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর উৎসস্থলে বাঁধের অন্তত ২০ মিটার অংশ ভেঙে জকিগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছিল ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায়ও। তবে এখন ভেঙে পড়া এ বাঁধ সংস্কারে পাউবো কাজ শুরু করেছে।
ভেঙে যাওয়া বাঁধের তীরবর্তী এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে সব বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা উচিত। কারণ, সামনেই বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হবে। এ অবস্থায় বাঁধ ভাঙা অবস্থায় থাকলে সংকট বাড়ার আশঙ্কা আছে। তাই তাঁরা বাঁধগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো দ্রুত সংস্কারে পাউবো উদ্যোগ নিয়েছে। এসব বাঁধ বহু পুরোনো। এ অবস্থায় এসব বাঁধ উঁচু করার জন্য ২০২০ সালে ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছিল। এটি গৃহীত হলে জেলার বাঁধগুলো উঁচু করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।