সিলেটে বন্যার পানি বেড়ে চলেছে। এখনো অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধারে এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার থেকে বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আজ শনিবার থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন বলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর ৩৫ জনের একটি ডুবুরিদল কাজ শুরু করেছে। বিকেলে ৬০ জনের আরেকটি দল সিলেটে আসবে। কোস্ট গার্ডের দুটি ক্রুজ দুপুরের পর আসবে। একটি সুনামগঞ্জ যাবে এবং একটি সিলেটে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হবে। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ‘রেসকিউ বোট’ দিয়ে গ্রামে গ্রামে পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নৌবাহিনীর একটি দল সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে কাজ করছে এবং আরেকটি দল কোম্পানীগঞ্জের দিকে রয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী আজ সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ এ গোয়াইনঘাটে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যার পানিতে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সদস্যরাও।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ছয়টার দিকে সিলেটের প্রধান নদী সুরমার কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, সিলেট নগরের ২৫ থেকে ৩০টি এলাকায় হু হু করে পানি বাড়ছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি এলাকায়। বাসাবাড়িতে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি। এদিকে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায়ও পানি বেড়ে চলছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।