‌সিলেটের লাল বাজারে বি‌ক্রির জন্য ওঠা প্রায় ২০০ কে‌জি ওজনের বাগাড়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তোলা ছবি
‌সিলেটের লাল বাজারে বি‌ক্রির জন্য ওঠা প্রায় ২০০ কে‌জি ওজনের বাগাড়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তোলা ছবি

সিলেটে ধরা পড়ল ২০০ কেজির বাগাড়

সিলেটের কুশিয়ারা নদীতে ধরা পড়েছে প্রায় ২০০ কেজির একটি বাগাড় মাছ। মাছটি বিক্রির জন্য আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাজারে তোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত মাছটির সর্বোচ্চ দাম হাঁকানো হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। তবে মাছটির বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন এ দামে সন্তুষ্ট নন। তাঁর মনমতো দামে আস্ত মাছ কেনার ক্রেতা না থাকায় তিনি মাছটি কেটে কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এভাবে বিক্রি করলে প্রতি কেজি আড়াই থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ার হোসেন। আর তাতে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা মাছটি বিক্রি করে আয় হবে বলে তাঁরা প্রত্যাশা।

আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে বাগাড়টি। বেলা দুইটার দিকে মাছটি বিক্রির জন্য সিলেট নগরের বন্দরবাজারের লালবাজার মাছের আড়তে তোলা হয়। এদিকে বাজারে বিশাল আকারের বাগাড় মাছ আনার খবর শুনে অনেক উৎসুক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। এ সময় অনেককে মুঠোফোন দিয়ে ছবি তুলতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ মাছটি ছুঁয়েও দেখছেন।

কেজিদরে বিক্রি করলে প্রতি কেজি আড়াই থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ার হোসেন। আর তাতে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা মাছটি বিক্রি করে আয় হবে বলে তাঁরা প্রত্যাশা
‌সিলেটের লাল বাজারে বি‌ক্রির জন্য ওঠা প্রায় ২০০ কে‌জি ওজনের বাগাড়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তোলা ছবি

সিলেট নগরের মেন্দিবাগ এলাকার বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘বাজারে মাছ কিনতে এসে বিশাল আকারের মাছ দেখে এগিয়ে আসি। মাছটি কেটে কেজি দরে বিক্রির কথা শুনে আমি নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে রেখেছি। বিক্রেতা বলেছেন, বুধবার সকালে যোগাযোগ করবেন।’ তিনি বলেন, এই মাছকে তাঁদের এলাকায় ‘বাঘ মাছ’ বলা হয়। মাছটি খুব সুস্বাদু। আগেও মাছটি কেজি দরে কিনে খেয়েছেন তিনি।

মৎস্য ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ও আমার ভাই বিল্লাল হোসেন মিলে মাছের ব্যবসা করি। এর আগেও বেশ কয়েকটি বড় বাগাড় মাছ এনে বিক্রি করেছি। সাধারণত এত বড় মাছ আস্ত কেনার কেউ থাকে না। এ জন্য কেটে কেজি দরে বিক্রি করতে হয়।’ মাছটি বিক্রি করতে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কেজি দরে কিনতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে নাম ও মুঠোফোন নম্বর দিচ্ছেন। সেগুলো খাতায় তুলে রেখেছেন। আগামীকাল বুধবার মাছ কাটার সময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এর মধ্যেই মাছ নিতে ২০ জন নাম লিখিয়েছেন।