সিলেটে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে আটজন হয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থলে ছয়জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশ ও এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) এ বি এম আশরাফ উল্যাহ।
আজ শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, এনা পরিবহনের একটি বাস সিলেট থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। লন্ডন এক্সপ্রেস নামের বাসটি ঢাকা থেকে সিলেট আসছিল। সকাল পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরে একটি পেট্রলপাম্পের কাছে বাস দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন এনা পরিবহনের বাসের চালক সিলেটের ওসমানীনগরের মো. মঞ্জুর আলী (৩৮), বাসের সুপারভাইজার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মো. সালমান খান (২৮), বাসের কর্মী ওসমানীনগরের জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর সরাইলের মো. নুরুল আমিন (৫০), চিকিৎসক আল মাহমুদ ইমরান খান (৩৬), ঢাকার ওয়ারী এলাকার নাদিম আহমেদ সাগর (২০) ও সিলেট শহরতলির আখালিয়া এলাকার শাহ কামাল (৪৫) এবং সুনামগঞ্জের ছাতকের রহিমা বেগম (৩০)। নিহত লোকজনের মধ্যে নাদিম আহমেদ সাগর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রহিমা বেগম মারা যান।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) এ বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, সিলেট থেকে এনা পরিবহনের একটি বাসে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে আটজন যাত্রী, বাসের চালক ও সহকারী তিনজন মিলে মোট ১১ জন ছিলেন। অন্যদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসে ২৮ জন যাত্রী, বাসের চলক ও সহকারী তিনজন মিলে মোট ৩১ জন ছিলেন।