সিলেটে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তবে স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম রুমি বেগম (২২)। তাঁর বাবার বাড়ি সিলেট বিমানবন্দরের খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামী হলেন খোকন মিয়া (৩০)। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর তিরাশি গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত রুমির বড় ভাই জামাল মিয়া বলেন, খোকনের সঙ্গে তাঁর বোনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় প্রায় দুই বছর আগে। বিয়ের পর থেকে খোকন বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে রুমিকে নির্যাতন করতেন। গতকাল সকালে রুমি মাকে ফোন করে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বিকেলে খোকন ফোন করে বলেন, রুমি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরা রুমিকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা রুমির লাশ পান। জামাল মিয়ার অভিযোগ, তাঁর বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোকন মিয়া দাবি করেন, পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল বিকেলে নিজ কক্ষে দরজা আটকিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রুমি। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা বলেন, গৃহবধূর লাশের সুরতহাল করার পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হওয়ার পর তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।