সিলিন্ডারে গ্যাস নয়, ছিল মাদক

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিট। স্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড। জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত একটি গ্যাস সিলিন্ডারবাহী গাড়ি তল্লাশির জন্য থামায় পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ হয় সিলিন্ডারে আছে অন্য কিছু। সে সন্দেহ থেকে কাটা হয় দুটি সিলিন্ডার। কাটার পর গ্যাস নয়, সিলিন্ডার থেকে একে একে বের করে আনা হয় ১২৫ বোতল ফেনসিডিল।

সিলিন্ডারে ভরে অভিনব কায়দায় মাদক পাচারের এই পদ্ধতির সন্ধান পায় ভৈরব থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় রুবেল মিয়া (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। রুবেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার কাদুরাইল গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, তাঁদের কাছে খবর ছিল বিজয়নগর থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে একটি পিকআপ। পুলিশ সকাল সাতটা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একটি পিকআপে আটটি সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সে গাড়ি তল্লাশির সময় পুলিশ বুঝতে পারে আটটির মধ্যে দুটি সিলিন্ডারের ওজন অনেক বেশি। ওই সন্দেহ থেকে ওয়ার্কশপে নিয়ে সিলিন্ডার দুটি কাটা হয় এবং ফেনসিডিল পাওয়া যায়। গাড়িতে চালক রুবেল ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না।

রুবেল বলেন, ‘আমি চালক। গাড়ির মালিক ডেকে এনে বলেন সিলিন্ডারগুলো ঢাকায় পৌঁছে দিতে। এর বেশি কিছুই জানি না।’

ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউজ্জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে বহনের সময় নানা অভিনব কৌশল অবলম্বন করা মাদক কারবারিদের নিত্য দিনের ঘটনা। কিন্তু গ্যাস সিলিন্ডারে করে মাদক পাচারের কৌশল সম্ভবত এই প্রথম। অথচ সিলিন্ডারের কোথাও ফুটা নেই। পরে বুঝতে পেরেছেন একটু জায়গা কেটে ফেনসিডিল ভরার পর তা ঝালাই করা হয়।