সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী ঘোষণার পর সহিংসতায় নিহত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. তরিকুল ইসলাম খানের স্ত্রী হাসিনা খাতুন পুনর্নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজার রহমান।
আজিজার রহমান বলেন, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে হতে যাওয়া পুনর্নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দুটি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল এবং দুটিই জমা পড়েছে। অন্য প্রার্থী হলেন নিহত তরিকুল ইসলাম খানের ভাই মো. আবদুল মতিন।
নতুন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মো. তরিকুল ইসলাম খানের স্ত্রীকে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচন করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী ঘোষণার পর তরিকুল ইসলাম খানের ওপর পরাজিত প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিন ও তাঁর সমর্থকদের হামলা চালালে তরিকুল নিহত হন।
২৮ ফেব্রুয়ারি এ ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজার রহমান।
দ্বিতীয় ধাপে গত ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়ে মো. তরিকুল ইসলাম খান ৮৫ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণার পর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাদত হোসেন বুদ্দিন ও তাঁর সমর্থকদের হামলায় তরিকুল ইসলাম খান গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নির্বাচন কমিশন থেকে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত তরিকুল ইসলাম খানের ছেলে একরামুল হাসান বাদী হয়ে ১৭ জানুয়ারি রাতে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় পরাজিত প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনকে ১ নম্বর আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ এ মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।