অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন টেকনাফের ঠিকাদার হামজালাল। তিনি মামলার ২৩ নম্বর সাক্ষী। আজ বুধবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হামজালালকে দিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা শুরু হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে আদালতে হামজালালের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম। সময়ের অভাবে গতকাল আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা করতে পারেননি।
টেকনাফের সাবেক ওসি ও সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে লড়ছেন বিশিষ্ট আইনজীবী রানাদাশ গুপ্ত। জেরা শেষ হলে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান, মো. শাহ আলম ও বেবী বেগমের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। এই তিনজন সাক্ষীকে ইতিমধ্যেই আদালতে হাজির করা হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আদালত পরিচালনা করছেন।
জেরার শুরুর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পিপি ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য ও জেরার জন্য আজ মোট চারজন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত রাখা হয়েছে। তাঁদের সবার বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়। এর আগের তিন দফায় ১৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে নয়টায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। এরপর আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।