ফরিদপুরের সালথায় গত সোমবার রাতে নজিরবিহীন তাণ্ডবের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চার হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এসআই মিজানুর ঘটনার রাতে ফুকরা বাজার এলাকায় জনতার হামলায় আহত হন।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সালথা থানা, উপজেলা কমপ্লেক্সসহ ওই এলাকার বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন উত্তেজিত জনতা। বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে এ তাণ্ডব চালানো হয়। পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩ থেকে ৪ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সালথা থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, থানায় হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
সালথার সহিংস ঘটনা নিয়ে আরও মামলা হবে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানোয় সেসব প্রতিষ্ঠান আগামী দু–এক দিনের মধ্যে মামলাগুলো করবে।
সালথার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি টহল দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।