ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে নতুন করে ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই দুই উপজেলায় করোনায় সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬৬ জনে। এদিকে গতকাল শুক্রবার থেকে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ঠিকানা সরবরাহ না করায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাঁদের আইসোলেশন বা চিকিৎসার আওতায় নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সাভার থেকে ১৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ল্যাবে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার এসব নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আছেন।
ধামরাই থেকে গত বুধবার ৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে একই ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে ৩২ জন শনাক্তের বিষয়ে শুক্রবার যে তথ্য তাঁদের দেওয়া হয়েছে তাতে শুধু রোগীর নাম আর মুঠোফোন নম্বর রয়েছে। ঠিকানা না থাকায় তাঁদের খুঁজে বের করে আইসোলেশন অথবা চিকিৎসার আওতায় নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, নমুনা সংগ্রহের সময় যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয় তার অনেক ভুল থাকে। তথ্য গোপন করার জন্য অথবা না বুঝে অনেকে এমন করে থাকতে পারে। এর ফলে মোবাইলে কল করে অনেকেই পাওয়া যায় না। আবার নম্বর সঠিক থাকলেও সংক্রমিত অনেকে ফোন পেয়ে এড়িয়ে যান অথবা বিভ্রান্ত করেন।
সায়েমুল হুদা আরও বলেন, শুক্রবার শনাক্ত হওয়া কয়েকজনকে ফোন করে পরিচয় দিয়ে ঠিকানা জানতে চাইলে ঠিকানা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অনেকে আবার ফোন বন্ধ করে দেন।
বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) নাথুরাম সরকার বলেন, আগে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার পর ল্যাব থেকে সব ফলাফল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হতো। তাতে নাম ঠিকানাসহ ‘পজিটিভ’ ও ‘নেগেটিভ’ সবার তথ্যই থাকত। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুজন অপারেটর এসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ডাটা এন্ট্রি করে অধিদপ্তরে পাঠাচ্ছেন, যেখানে শুধু নাম আর মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হচ্ছে।