ঢাকার সাভারে স্কুলছাত্র রোহানুল ইসলামকে (১৭) হত্যার ঘটনায় তার বাবা সোবাহান মিয়া রোববার রাত আটটার দিকে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় হৃদয় (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে হৃদয়কে রোববার ভোরে ধামরাই থেকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনিতে রোহানুলকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন রাহিদ (১৯), আসিফ (১৮), রফিকুল ইসলাম (২০), আকিরুল (১৯), রবিউল (১৯), আপন (২০), শিখর (১৯), সজীব (২০), দুদুল (২২), সিয়াম (২১), সুফিয়ান (২১), ভানু (২৭) ও সাজ্জাদ (২১)। এ ছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের প্রায় সবাই রোহানুলের সঙ্গে পড়ালেখা ও একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। তাঁদের সবাই সাভার পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লাসহ সাভার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। কোনো বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেওয়ায় রোহানুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুফিয়ান ও সিয়াম কৌশলে গতকাল রাত আটটার দিকে রোহানুলকে ব্যাংক কলোনির মুড়ি মটকায় (দোকানোর নাম) নিয়ে যান। দুটি মোটরসাইকেলে করে তাঁরা মুড়ি মটকার পাশে অ্যালাইড ক্যাডেট স্কুলের সামনে পৌঁছানোর পরপরই ৪০ থেকে ৫০ জন কিশোর রোহানুলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা রোহানুলকে গলির ভেতরে নিয়ে বুকে ও পেটে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অ্যালাইড ক্যাডেট স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্যে দেখা যায়, একসঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ জন কিশোর ও তরুণ রোহানুলের ওপর হামলা চালান। হামলার পর তাঁরা ধীরে ধীরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।