দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার পর সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলের প্রতিষ্ঠানের ২২টি অবৈধ গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।
নগরীর চান্দগাঁও থানার সানোয়ারা আবাসিক এলাকায় শুক্র ও শনিবার অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) মোহাম্মদ নুরুল আবচার সিকদার জানিয়েছেন।
নুরুল আবচার সিকদার শনিবার সাংবাদিকদের জানান, ২২টি অবৈধ সংযোগ বিপণন বিভাগের ভিজিল্যান্স টিম অভিযান চালিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে।
এর আগে দুদকের মামলায় বৃহস্পতিবার সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্যাস–সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে দুদক একটি মামলা দায়ের করে। দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১–এর উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তাঁরা হলেন কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, দক্ষিণ জোনের টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) মো. দিদারুল আলম, সাবেক ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও গ্রাহক মুজিবুর রহমান।
মামলায় বলা হয়েছে, নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালাম নামের এক গ্রাহকের নামে বরাদ্দকৃত ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার সংযোগ ছিল। এখানকার ১২টি দ্বৈত চুলা নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। এ জন্য মৃত সালামের স্ত্রী নুরজাহান সালামের নামে ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করা হয়েছিল। এভাবে সংযোগ স্থানান্তরের কোনো আইনগত বৈধতা নেই।
মামলা দায়েরের পর গত বৃহস্পতিবার বর্তমান মহাব্যবস্থাপক মো. সারওয়ার হোসেন, টেকনিশিয়ান দিদারুল আলম এবং সাবেক ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে দুদক। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে আছেন।