সাবেক মন্ত্রীর ভাতিজাসহ ৭২ জনের নামে হত্যা মামলা

চৌহালীতে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন বেলকুচির আজগড়া গ্রামের আব্দুল জলিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেন গ্রামের শত শত নারী–পুরুষ
ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে সদিয়াচাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাসের ভাতিজা নান্নু বিশ্বাসসহ ৭২ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে নিহত আবদুল জলিলের চাচাশ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জাহাঙ্গীর বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

এনায়েতপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। লাশটি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হসিপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর লাশটি দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

বুধবার দিনব্যাপী চৌহালীর বেতিল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজমাঠে সদিয়াচাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমার্ধে আলোচনা সভা শেষে বেলা তিনটার দিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে দুজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি সিরাজুল আলমকে হারিয়ে শাহাদত হোসেন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিকে হারিয়ে বুদ্দু বিজয়ী হচ্ছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই একপর্যায়ে ঊরুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বেলকুচি আজগড়া জামাত মোড় এলাকার জলিলের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া উভয় পক্ষের আহত হন আরও কয়েকজন।