নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সাতক্ষীরার দেবহাটার একজন (৪৫) করোনা শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে দেবহাটার সখিপুর সরকারি খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলকায়।
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল লতিফ জানান, ১ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জ থেকে ২৪ জন ইটভাটাশ্রমিক ট্রাকে করে দেবহাটায় নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। তাঁদের উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকারি খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তবে একজন (করোনা পজিটিভ) এসেই তাঁর বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁদের জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল, তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। গতকাল রাত আটটার দিকে ল্যাব থেকে জানানো হয়, ১০ জনের মধ্যে ১ জনের প্রতিবেদন করোনা পজিটিভ। এই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ থেকে আসার পর নিজ বাড়ি গিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর স্ত্রীও তাঁকে দেখতে এই কলেজে আসেন। তাই তাঁর বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও জানান, ফল পজিটিভ আসা রোগীকে ওই কলেজে একটি কক্ষে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদের আরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এর মধ্যে যদি কারও করোনা উপসর্গ দেখা দেয়, তবে তাঁকে পরীক্ষা করানো হবে। আর না হলে ১৪ দিন পর সবাইকে নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন নেগেটিভ এলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজিয়া আফরিন জানান, ওই ব্যক্তি ও তাঁর আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। এ নিয়ে সাতক্ষীরায় দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত জানান, জেলা থেকে মোট ৪৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২৬৪টি প্রতিবেদন নেগেটিভ ও দুটি প্রতিবেদন পজিটিভ এসেছে।