সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চরবালিথা এলাকায় মরিচ্চাপ নদের তীর থেকে এক শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সোমবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির নাম আলিফ হোসেন (৭)। সে চরবালিথা গ্রামের মঈনুদ্দীন সরদারের ছেলে।
উদ্ধারকারী চরবালিথা গ্রামের বাসিন্দা আশিকুজ্জামান বলেন, ‘আমি মরিচ্চাপ নদের তীর দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় উপুড় হয়ে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখি। তাকে ওলটাতেই চিনতে পারি। তার চোখে ধারালো কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করা হয়েছে। আর ঠোঁট কেটে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
আলিফের বাবা মঈনুদ্দীন সরদার জানান, তাঁর প্রথম স্ত্রী শারমীন মারা যাওয়ার পরে আলিফ তার নানি সকিনা খাতুনের কাছে থাকত। সৎমার অত্যাচার যেন সইতে না হয়, এ জন্য নানির কাছে ছিল। আলিফকে কে বা কারা এভাবে জখম করল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না জেনে কার নাম বলব? তবে শুনেছি, ওর মামি রানী বেগম মাঝেমধ্যে তার ওপর নির্যাতন করত।’
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক পারভীন আক্তার বলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, আলিফের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার ঠোঁট, গলা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা দাগ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।