সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কলারোয়া থানায় কারও নাম উল্লেখ না করে মামলাটি করেন নিহত শাহিনুর রহমানের শাশুড়ি ময়না খাতুন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারান পাল জানান, রাতে মামলাটি রেকর্ড করার পরপরই তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা সিআইডির পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তদন্তকাজ শুরু হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে নিহত শাহিনুরের মামার বাড়ি ব্রজবকস গ্রামে নিহত সবাইকে দাফন করা হয়েছে।
বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে কলারোয়া উপজেলায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, শাহিনুর রহমান (৪০), তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৫), ছেলে সিয়াম হোসেন (১০) ও মেয়ে তাসলিমা (৮)। তাঁদের বাড়ি কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিশাগ্রামে।
নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম গতকাল জানান, বাড়িটিতে তাঁর মা ও বড় ভাইয়ের পরিবারের চারজনসহ তাঁরা সাতজন থাকতেন। তাঁদের মা গতকাল এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। তিনি (রায়হানুল) ছিলেন পাশের ঘরে। ভোরে পাশের ঘর থেকে তিনি গোঙানির শব্দ শুনতে পান তিনি। তিনি গিয়ে দেখেন, ঘরের বাইরে থেকে দরজা আটকানো। দরজা খুলে দেখতে পান বীভৎস দৃশ্য। তখনো একটা শিশু বেঁচে ছিল। সে কিছুক্ষণ পর মারা যায়।
রায়হানুল ইসলাম বলেন, তাঁদের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে পাশের কয়েকজনের বিরোধ ছিল। কিন্তু কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।