সাতক্ষীরায় এক দিনে ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন দেবহাটা ও ১ জন আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় ২৮ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলো।
রোববার সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত বলেন, এই ২৩ জন মিলিয়ে জেলায় ২৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো। ইতিমধ্যে একজন সুস্থ হওয়ায় তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
দেবহাটা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বলেন, গত ১ মে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে ২৪ জন ইটভাটার শ্রমিক সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা সদর ইউনিয়নে নিজদের বাড়িতে আসেন। তাঁদের সবাইকে দেবহাটা সরকারি খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এঁদের মধ্যে যাঁদের সর্দি–কাশি ছিল, এমন ১০ জনের নমুনা নিয়ে ৩ মে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হন। অন্যদের নেগেটিভ আসে। তিনি আরও বলেন, পজিটিভ আসা ওই শ্রমিককে কলেজের একটি কক্ষে আইসোলেশনে রাখা হয়। অন্যদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ১৪ মে আবার ২৪ শ্রমিকের নমুনা নিয়ে পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে। এর মধ্যে ৫ মে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ও নতুন ২২ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। নতুন আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে চারজন নারী, দুজন শিশু ও ১৬ জন পুরুষ।
এদিকে আশাশুনি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা সুদেষ্ণা সরকার বলেন, ঢাকা থেকে এক শ্রমিক ১২ মে সাতক্ষীরার আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে আসেন। তাঁকে কোয়ারেন্টিনে রেখে ১৪ মে নমুনা নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পিসিআর ল্যাব থেকে জানানো হয় ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে।