সাতক্ষীরায় আরও একজনের (৪৫) করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে এ প্রতিবেদন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। এ নিয়ে সাতক্ষীরায় দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার জানান, কয়েক দিন আগে একজন ইটভাটা শ্রমিক নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরার দেবহাটায় আসেন। তাঁকে সখীপুর খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তাঁর জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ করোনা উপসর্গ থাকায় গত রোববার তাঁর নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। আজ রাত আটটার দিকে খুলনা থেকে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির প্রতিবেদন পজিটিভ। তিনি আরও জানান, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ওই কলেজ ভবনে এখনো কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। ওই কলেজ লকডাউন করা হবে।
সাতক্ষীরায় ৩০ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এক কর্মকর্তার (৩৫)। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়ি ও ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ১৬টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। এ ছাড়া যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক ল্যাব টেকনোলজিস্ট (৩১) সেখান থেকে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা শহরের ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি ভাড়া বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। ২৬ এপ্রিল তাঁর সাতক্ষীরা শহরের ভাড়া বাড়িসহ গ্রামের বাড়ি, একটি মসজিদ ও আরও ছয়টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। এ ছাড়া তাঁর প্রতিবেশী ১৫টি বাড়ির লোকজনকে সতর্ক করা হয়।