টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বলেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সিকান্দার জুলকার নাঈমের আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার এবং আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাক্ষীরা কেউ আদালতে হাজির হননি। পরে বিচারক আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ৫ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস এই মামলার কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এ পর্যন্ত ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর বাসার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালে এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামির জবানবন্দিতে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা এবং তাঁর অপর তিন ভাই ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান, সাবেক পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খানের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। পরে তাঁরা পলাতক হন। পরে আমানুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় আড়াই বছর কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে আছেন। অন্য ভাইয়েরা এখনো পলাতক।