নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থাপন করা হলো কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্র। হাসপাতালের সভাকক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। আজ শনিবার দুপুরে।
নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থাপন করা হলো কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্র। হাসপাতালের সভাকক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। আজ শনিবার দুপুরে।

সাংসদ মাশরাফির প্রচেষ্টায় নড়াইলে চালু হলো কোভিড পরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্র

মাত্র ৪৫ মিনিটে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার অত্যাধুনিক মেশিন (এক্সপার্ট এক্সপ্রেস সার্স-কোভ-২ টেস্ট) নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থাপন করা হলো। যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবিত জিন এক্সপার্ট প্রযুক্তির এ মেশিন আজ শনিবার দুপুরে সদর হাসপাতালের সভাকক্ষে উদ্বোধন করা হয়। ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সামিউল ইসলাম। তিনি বলেন, যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে ও কোভিড-১৯ পরীক্ষায়ও এই পদ্ধতি (এক্সপার্ট এক্সপ্রেস সার্স-কোভ-২ টেস্ট) আশানুরূপ ফল দিয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতালে এই পদ্ধতি চালু হয়েছে। সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রচেষ্টায় প্রথম দিকে নড়াইল জেলায় এটি চালু হতে যাচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে নড়াইলবাসীর জন্য একটি বড় সংবাদ।

হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতালে এই পদ্ধতি চালু হয়েছে। সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রচেষ্টায় প্রথম দিকে নড়াইল জেলায় এটি চালু হতে যাচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে নড়াইলবাসীর জন্য একটি বড় সংবাদ।
মো. সামিউল ইসলাম, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস শাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন মো. আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দীন খান, নড়াইল পৌর মেয়র মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মশিউর রহমান, মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ও বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত এই পদ্ধতিতে মাত্র ৪৫ মিনিটে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা যায়। তবে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস শাকুর জানান, এই পরীক্ষা আপাতত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে না। কিটের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় যাঁদের জরুরি করোনা রিপোর্ট প্রয়োজন, শুধু তাঁরাই এর সুবিধা পাবেন।