সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে প্রথিতযশা সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের শহীদ নাজমুল সরণিতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, অনেক মৃত্যু পাহাড়ের চেয়ে ভারী। আবার অনেক মৃত্যু পাখির পালকের চেয়ে হালকা। সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যু পাহাড়ের চেয়ে ভারী।
স্মরণসভায় প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান সুশাসনের জন্য লড়াই করে গেছেন। আদালত, বিচারব্যবস্থা ও সংবিধান নিয়ে তিনি নিজেকে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সাংবাদিকতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। বিশ্বে যাঁরা আইন প্রণয়ন করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই আইনের ছাত্র ছিলেন না। মিজানুর রহমান খান তেমনি একজন মানুষ ছিলেন। তিনি আইনের ছাত্র কিংবা কোর্স না করেও অত্যন্ত সুন্দরভাবে আইন ও সংবিধানের বিভিন্ন সমাধান দিয়ে গেছেন। তিনি প্রচুর লেখাপড়া করতেন।
সভার শুরুতে সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে উপস্থিত সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
শেখ মফিজুর রহমান বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি মারা গেছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে মিজানুর রহমান খানের শূন্যতা পূরণ করা কঠিন। তিনি নিজের দায়বদ্ধতা থেকে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে গেছেন। নির্যাতিত ও অসহায় মানুষজনকে সহযোগিতা দিয়ে গেছেন। মিজানুর রহমানের অকালপ্রয়াণ মানে একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিকের প্রয়াণ। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। বর্তমানে তাঁর মতো সাংবাদিক বিরল। বর্তমান প্রজন্মের সাংবাদিকদের তাঁকে অনুসরণ ও অনুকরণ করা উচিত। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আইনজীবী অরুণ ব্যানার্জি। ‘ডেইলি সাতক্ষীরা’ সম্পাদক হাফিজুর রহমানের মাসুমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ, মোহনা টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবদুল জলিল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, দৈনিক ‘কালের চিত্র’–এর মফস্বল বার্তা সম্পাদক মেহেদী আলী, প্রথম আলো বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি জাহিদা জাহান প্রমুখ।
সভার শুরুতে সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে উপস্থিত সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।