বর্তমান সরকারের সব অর্জন আছে, কিন্তু এ পর্যন্ত ভোট ব্যবস্থার কোনো উন্নতি করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, এটার পরিবর্তন করতে হবে। আজকে কিছুসংখ্যক অপরাজনীতির হোতাদের কারণে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর অনুসারী হিসেবে পরিচিত চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ জেড এম মহিউদ্দিন ওরফে সোহাগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেন, ‘সাদাকে সাদা বলুন, কালোকে কালো বলুন। আর আমরা চাই নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন। আমি পৌরসভা নির্বাচনের মধ্যদিয়ে কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে ভোটের লাইনে এনেছি। পৌরসভায় নিরপেক্ষ নির্বাচন করে।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে (ইউপি নির্বাচন) যদি এখানে (চরহাজারী) জামায়াত প্রতিদ্বন্দ্বী হতো, তাহলে বোধ হয় ফলাফল অন্যটা দেখতেন, সোহাগ জিততে পারত না। এই নির্বাচন ষড়যন্ত্রের নির্বাচন। চক্রান্তের নির্বাচন। মানুষ ভোটকেন্দ্রমুখী হয়েছে, সেটা থেকে আবার মুখ ফিরিয়ে নেবে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সত্য কথা বলে আমি অনেকের রোষানলে পড়েছি, আমি সত্যই বলব। এই সরকারের সব অর্জন আছে, কিন্তু ভোট ব্যবস্থার কোনো উন্নতি এখন পর্যন্ত করেনি।’
কাদের মির্জা চরহাজারীতে এক অটোরিকশা চালকের খুন হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘১৪ বছরের একটি হিন্দু ছেলেকে পরিবার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে দিয়েছে। গরিব ছেলে। সেই ছেলেকে মেরে অটোরিকশা নিয়ে গেছে। কে মেরেছে? পুলিশ মেরেছে, পুলিশ। পুলিশ মেরেছে এটা কী জন্য বললাম, দক্ষিণ এলাকাতে অটোরিকশা চুরি করার সময় পুলিশ ধরা খেয়েছে।’
চরহাজারী ইউনিয়নের আবু মাঝির হাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জয়নাল আবেদীন হাজারী। আর কাদের মির্জা ঘোষিত চরহাজারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির শাহাজাদা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।