ফেনীতে সরকারি ত্রাণের টিন আত্মসাতের একটি মামলায় আনোয়ার হোসেন ওরফে সবুজ নামের এক ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। মামলার আরেক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।
ওই মামলায় পরে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস কোরেশীকেও আসামি করা হয়। তাঁকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন ২০০৭ সালে সরকারি ত্রাণের ১০৮টি ঢেউটিন দিয়ে নিজের মালিকানাধীন পোলট্রি ফার্ম নির্মাণ করেন। একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁর পোলট্রি ফার্ম থেকে টিনগুলো উদ্ধার করেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ফেনী সদর থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় পরে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস কোরেশীকেও আসামি করা হয়। নোয়াখালী দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আহমেদ তদন্ত শেষে দুজনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি মামলায় জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।