বেহালা গ্রামে ঘর পেয়েছেন ঊর্মিলা রানী। গত ৩০ জানুয়ারি তাঁর নির্মাণাধীন ঘরটির দেয়াল ভেঙে পড়ে। পরে সেটি মেরামত করে দেওয়া হয়।
বরগুনার তালতলী উপজেলার দুটি গ্রামে সরকারি প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে নির্মাণাধীন একটি ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকারিভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। তালতলীতে প্রথম ধাপে ১০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে। ২ শতাংশ খাসজমিতে দুই কক্ষের সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বেহালা গ্রামে একটি ও পশ্চিম ঝাড়াখালী গ্রামে ছয়টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
বেহালা গ্রামে ঘর পেয়েছেন মৃত রাজেশ্বরের স্ত্রী ঊর্মিলা রানী। গত ৩০ জানুয়ারি নির্মাণাধীন ঘরটির দেয়াল ভেঙে পড়ে। পরে সেটি মেরামত করে দেওয়া হয়। ঊর্মিলা রানী বলেন, সিমেন্ট কম ও বালু বেশি দেওয়া হচ্ছে। ঘরের নির্মাণকাজ চলাকালে উত্তর পাশের দেয়াল ধসে পড়ে। পরে ইউএনও এসে ঠিক করে দিয়েছেন। ঘরের কাঠ নিম্নমানের। নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের জন্য তিনি ধারদেনা করে ঠিকাদারকে ৯ হাজার টাকা দিয়েছেন।
তবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘর নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদার বেল্লাল হোসেন।
সম্প্রতি পশ্চিম ঝাড়াখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আবদুর রহিম, মনোয়ারা বেগম, আবুল কালাম ও মো. সোহাগের ঘরের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। তবে এসব ঘরে লিন্টন নির্মাণ করা হয়নি।
সুবিধাভোগী মনোয়ারা বেগমের ছেলে মনির হোসেন বলেন, ঘর নির্মাণে ঠিকাদার তাঁর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছেন। টাকা না দেওয়ায় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
আবুল কালাম নামের আরেক সুবিধাভোগী বলেন, ঘরের মেঝে নির্মাণ করার জন্য ঠিকাদার সিমেন্ট কিনে দিতে বলছেন। ঘরের চালায় ব্যবহার করা কাঠ এখনই ভেঙে পড়ছে। তিন ইটের ভিত্তি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ঘর। দেয়ালের ওপর লিন্টন না করেই টিন লাগানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে ইউএনও (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, নোনাপানি ব্যবহার করার কারণে নির্মাণকাজ চলাকালে একটি ঘরের দেয়াল ধসে পড়েছিল। পরে ওই ঘরের দেয়াল ভালোভাবে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ঘর নির্মাণে কোনো টাকা আদায় করা হয়নি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।