২৯ জুন এ সম্মেলন হবে। সম্মেলন আয়োজনের খবরে কর্মী ও সমর্থকেরা চাঙা হয়ে উঠছেন।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯ জুন এ সম্মেলন হবে। সম্মেলন আয়োজনের খবরে কর্মী ও সমর্থকেরা চাঙা হয়ে উঠছেন। এদিকে পদপ্রত্যাশী নেতারা জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
সম্প্রতি দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯ বছর আগে ২০০৩ সালের ১১ জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে সংসদ সদস্য মো. আবদুছ ছাত্তার ও আবদুল হেকিম যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৬৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেলেও ২০১৫ সালে আবদুছ ছাত্তারকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। বড় পদের জন্য ছাত্তারকে ছোট পদ (উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি) ছেড়ে দিতে হয়। এ সুযোগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান ছাত্তারের পছন্দের নেতা বলে পরিচিত সহসভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন হয়। এসব নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে নানা মতপার্থক্য দেখা দিলে তৈরি হয় একাধিক বলয়।
এদিকে গত বছরের জানুয়ারি মাসে দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হেকিমের মৃত্যু দলটিকে বড় ধাক্কা দেয়। শুধু সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যু নয়, গত ১৯ বছরে উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৃত্যুসহ নানা কারণে দলটির ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হয়। এসব পদ পূরণ না হওয়ায় দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। এ স্থবিরতা কাটাতে আসন্ন সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি দলীয় নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে টনিক হিসেবে কাজ করবে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী যদি উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব আমাকে দিতে চান, তাহলে আমি নেব।আবদুছ ছাত্তার, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ
সম্মেলন উপলক্ষে সভাপতি পদের জন্য একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুছ ছাত্তার, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানের নাম উল্লেখযোগ্য।
মুঠোফোনে ছাত্তার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভানেত্রী যদি উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব আমাকে দিতে চান, তাহলে আমি নেব। নেত্রীর ইচ্ছা বা নির্দেশের বাইরে কখনো কাজ করিনি, করবও না।’
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম হারুন অর রশিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক, সাবেক যুবলীগ নেতা সাফায়াত হোসেন ভূঁইয়া, এ বি সিদ্দিক ভূঁইয়া ওরফে দুলাল ভূঁইয়া, হাবিবুল্লাহ মিলনসহ ৮-১০ জন নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে।