নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নুর নবী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর সুন্দলপুর ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. মহিন উদ্দিন (৫৮)। তিনি মধ্যম সুন্দলপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় আজ রোববার সকালে মহিন উদ্দিনের মেয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন নুর নবী (৪০), নুর নবীর স্ত্রী শাহেনা আক্তার (৩৬) ও তাঁদের ছেলে নবী অন্তর (১৮)। এ ছাড়া মামলায় নুর নবীর অপ্রাপ্তবয়স্ক এক ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে। নুর নবী তাঁর পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মহিন উদ্দিন ঘরজামাই নুর নবীর কাছে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন। ওই সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে নুর নবীর সঙ্গে মহিন উদ্দিনের মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে গতকাল সন্ধ্যার পর মহিন উদ্দিনের সঙ্গে নুর নবী ও তাঁর ছেলেদের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
মহিন উদ্দিনের ভাই জহির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে নুর নবী ও তাঁর ছেলেরা মহিন উদ্দিনকে মারধর করেন। এতে মহিন উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর থেকে নুর নবী ও তাঁর পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছেন। তাই এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবদীন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় লাশের বাহ্যিক অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মেয়ে মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাঁরা আত্মগোপনে আছেন।