টাঙ্গাইলের সখীপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের ৪০ দিনের কর্মসূচি মাত্র ৩০ দিন পর স্থগিত করা হয়েছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ফলে ওই কর্মসূচির ১০ দিনের প্রায় ৪০ লাখ টাকা ফেরত যাচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এরশাদুল আলম আজ সোমবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা পিআইও কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার কর্মসৃজন প্রকল্পের (৪০ দিনের কর্মসূচি) আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮টি ইউনিয়নে ৩৬টি প্রকল্পে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। গত ২১ নভেম্বর থেকে একযোগে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারকাজ শুরু হয়। ১ হাজার ৭০৮ জন শ্রমিক দৈনিক ২০০ টাকা মজুরিতে কাজ শুরু করেন। সপ্তাহে শনি থেকে বুধবার পর্যন্ত পাঁচ দিন কাজ করার নিয়ম ছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। এ অবস্থায় ৪০ দিনের কর্মসূচি মাত্র ৩০ দিন হওয়ার পরই শেষ করা হয়। কর্মসূচি চলাকালীন অবস্থায় হঠাৎ কাজ বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা নেমে আসে। এ ছাড়া অনেক গ্রামীণ কাঁচা সড়ক সংস্কারের আগেই কাজ বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যরাও এলাকায় নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন।
নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প না দেওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এতে শ্রমিকেরা ১০ দিনের মজুরি থেকে বঞ্চিত হবেন
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক জানান, ৪০ দিনের কর্মসূচি ৩০ দিনে শেষ হলে তাঁরা ১০ দিনের মজুরি থেকে বঞ্চিত হবেন। এখন শুনছেন টাকাগুলো ফেরত যাবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প না দেওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এর জন্য তো শ্রমিকেরা দায়ী নন।
মেয়াদ না বাড়লে এ কর্মসূচির বাকি ১০ দিনের প্রায় ৪০ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানো হবে।এরশাদুল আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)
বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোসলেম উদ্দিন বলেন, হঠাৎ কাজ বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকেরা তাঁদের দায়ী করছেন। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁদের সন্দেহ করছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এরশাদুল আলম বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ছিল গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু প্রকল্পের তালিকা দেরিতে আসায় কাজটি ৪০ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই বন্ধ করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আবার বাড়ানো হলে বাকি কাজ শেষ করা হবে। তবে মেয়াদ না বাড়লে এ কর্মসূচির বাকি ১০ দিনের প্রায় ৪০ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে শ্রমিকদের ৩০ দিনের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে।