ঈদকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ঘরমুখী মানুষেরা পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে সেতুর উত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যায়। ফলে শ্রীনগরের সমাসপুর এলাকা থেকে মাওয়া টোল প্লাজা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়। তবে দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পথে এবারই প্রথম ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষ। সকাল থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজায় ভিড় জমাতে থাকে হাজারো যানবাহন। গাড়ির চাপ বেশি থাকায় টোল প্লাজা এলাকায় মুহূর্তেই শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের সমাসপুর থেকে মাওয়া টোল প্লাজা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় তৈরি হয় গাড়ির দীর্ঘ সারি।
অপেক্ষমাণ গাড়ির মধ্যে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের সংখ্যাই বেশি। পাশাপাশি পণ্যবাহী যানবাহনও আছে। টোল দিতে প্রতিটি গাড়িকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়। তবে দুপুরের পর সেই চাপ কমতে শুরু করে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া থেকে টোল প্লাজা পর্যন্ত আধা কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের জটলা দেখা যায়।
ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান বেলা তিনটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে ঘরমুখী মানুষের চাপ ছিল। তবে মহাসড়ে যানবাহনের কোনো জট ছিল না। দুপুরের দিকে যানবাহনের চাপ বাড়ে, তখন শ্রীনগরের সমাসপুর থেকে পদ্মা সেতু উত্তর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছিল।বেলা তিনটার দিকে চাপ কমতে শুরু করে। বর্তমানে সার্ভিস এরিয়া থেকে পদ্মা সেতু উত্তর থানার আধা কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) জিয়াউল ইসলাম প্রথম আলোকে, ঈদের সময় শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে যে পরিমাণ যানবাহন পারাপার করা হতো, সেতু দিয়ে তার ১০ গুণ বেশি যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আরিচার অনেক গাড়ি ফেরিতে না গিয়ে সেতু দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। লঞ্চের যাত্রীরাও লঞ্চে না গিয়ে ঈদ করতে সড়কপথে বাড়ি ফিরছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যা চাপ ছিল দুপুরেই শেষ হয়ে গেছে।এবার ঈদে এ পথে যানবাহনের আর চাপ পড়ার সম্ভবনা নেই।