আড়াইহাজারে ইউপি নির্বাচন

সংঘর্ষে আহত ১৫, ৩ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত

দুপুরে দুই সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের পর কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। বিশনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বিশনন্দী ইউনিয়ন, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ, ২৬ ডিসেম্বর
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি কেন্দ্রেই সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হলে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এই কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সময়ে ভোট গ্রহণ হবে।

সরেজমিন ঘুরে ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই ইউনিয়নটির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় তিনটি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তিনটি কেন্দ্রসহ ইউনিয়নটির ৪টি কেন্দ্রে অন্তত ৩৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

আজ বেলা ১১টায় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ২৮ নম্বর দয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. শাহিন তাঁর লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর প্রতিপক্ষ সদস্য প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে শাহিনের সমর্কদের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে অন্তত আটটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত তিনজন আহত হন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এ সময় অন্তত দুজন আহত হন।

কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, সদস্য প্রার্থী জাকির হোসেনের সমর্থকেরা ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ প্রার্থী জামির হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

বেলা দুইটায় বিশনন্দী দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ২৭ নম্বর বিশনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থী আলী আকবর ও আবদুর রহিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্র ২টিতে অন্তত ২২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আলী আকবরের পক্ষে একজন নারী ভোটার চারটি ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। রহিমের সমর্থকেরা প্রতিবাদ জানাতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক–বিতর্ক ও পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বেলা একটায় কেন্দ্র দুটির ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশরাফুল আমিন জানান, আজ নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।